মোঃ আমানুল্লাহ কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা থেকেঃ ২০/০১/২০১৭ইং
কেরাণীগঞ্জ ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মাঝে আজ সকাল ১০:০০ থেকে দুপুর ১:০০ পর্যন্ত বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) কর্তৃক আয়োজনে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কালিগঞ্জে অনুষ্টিত হয়। উক্ত ওরিয়েন্টশনে উপস্থিত ছিলেন বিএলএফ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আফসানা বেগম, প্রোগ্রাম অফিসার ফৌরদোসী রুবী, ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ খাইরুল ইসলাম খোকন প্রমূখ। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন প্রদান করেন বিএলএফ প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আমানুল্লাহ। মূলতঃ শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মাঝে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তথ্য অধিকার আইন পাশ এবং এর যথর্থার্থ ব্যবহার করে সুফলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে জানানো হয় যে, তথ্য পাওয়ার অধিকারকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় সরকারী ভাবে। যাতে করে সরকারী-বেসরকারী, সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণকে তাদের চাহিদামতো তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকে। দীর্ঘদিন ঔপনিবেশিক শাসনে আবদ্ধ দেশের আমলাতন্ত্র তথ্যকে একটি গোপনীয় এবং একান্ত নিজস্ব সম্পদ মনে করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য সরবারহে অনীহা প্রকাশ করে থাকে। কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহের সংষ্কৃতি আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত হয়নি। ফলে এই তথ্যকে পুঁজি করে অনেকেই দূর্নীতি করতে সুযোগ পায়। এলাকার সাংসদ, ডিসি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌর কমিশনার, শিক্ষক, সকল সরকারি অফিসের কর্মকর্তা, বিদেশী ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-এককথায় বলা যায় সকল সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জনগন তাদের জীবন-জীবিকার সাথে জড়িত যেসব তথ্য এতদিন পায়নি বা যেসব প্রশ্নের উত্তের খুজঁতে গিয়ে বারবার তাকে (জনগণকে) খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। এ ধরনের বহু প্রশ্নের জবাব, জনগণ এখন পেতে পারেন খুব সহজেই তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে। তবে, এই আইন দ্বারা সরকারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার ০৮টি প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি ইউনিট ও সেলকে তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয় হয়েছে বলে জানানো হয়।