ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোসহ আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের চমৎকার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগ বাড়িয়ে এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তিনি ভারতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আজ তৃতীয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০১৭ (৩ৎফ ইবহমধষ এষড়নধষ ইঁংরহবংং ঝঁসসরঃ-২০১৭) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান। কলকাতার মিলন মেলা হলে দু’দিনব্যাপী এ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারের অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী অরুন জেটলি বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ভারতকে কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শিল্প ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দু’দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য ভারতে পুনঃরপ্তানির (জব-বীঢ়ড়ৎঃ) সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের বিনিয়োগনীতি এবং শিল্পনীতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও প্রণোদনা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে তাদের জন্যও একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।