প্রাথমিক শিক্ষাকে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত করতে দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বদলি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, পেনশন প্রাপ্তি প্রভৃতি কাজের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে ঘুষ দিতে হয়। শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে প্রাইভেট পড়ান। সে টাকার ভাগ শিক্ষা অফিসে দিতে হয়। শিক্ষকগণ সময়মতো বিদ্যালয়ে যান না। এ ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
আজ চট্টগ্রাম পিটিআই অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষায় সুশাসন নিশ্চিতকরণে চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা শিক্ষা অফিসার, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর, থানা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। এ ভিত্তি মজবুত না হওয়ার পেছনে কোচিং সেন্টার ও কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষাদান শেষে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানে শিক্ষকদের উদাসীনতা দায়ী। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের বাতিঘর প্রাথমিক শিক্ষা। একে আরো প্রজ্জ¦লিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করে শিক্ষা দিতে হবে। দেশকে কিছু দেওয়ার মতো প্রজন্ম জাতিকে উপহার দিতে হবে। এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সৎ মনের পরিচয় দিতে না পারলে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর হবে না, সুশাসন নিশ্চিত হবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, থানা শিক্ষা অফিসার ও ইনস্ট্রাক্টরগণ নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।

শিক্ষা