টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে তহবিলের প্রাপ্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে — স্পিকার

ইন্দোর (ভারত), ৬ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য একটি বৈশ্বিক বিষয়। এর বাস্তবায়নে বিশ্ব তহবিল ও প্রত্যেক দেশের নিজস্ব তহবিল প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এ দু’ধরনের তহবিলের যথাযথ প্রাপ্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আজ ভারতের ইন্দোরে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন ( আইপিইউ) ও ভারতের লোকসভার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ২০১৭ ঝড়ঁঃয অংরধহ ঝঢ়বধশবৎং’ ঝঁসসরঃ ড়হ অপযরবারহম ঃযব ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং (ঝউএং) এর প্লেনারি সেশনে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেরই সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের এ সীমাবদ্ধতা অনেক প্রকট। উন্নত দেশসমূহের অর্থনৈতিক ও কারিগরি পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব এবং সীমিত সম্পদের সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হতে পারে।
স্পিকার ইতঃপূর্বে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এ লক্ষ্যমাত্রার অনেকগুলোই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার আরো বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সকল দেশের পার্লামেন্ট সদস্যগণের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বাল্য বিবাহরোধ, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, শিশু মৃত্যুহার রোধ, জেন্ডার সমতা, শিক্ষা বিস্তার ইত্যাদি সামাজিক নির্দেশকসমূহের অগ্রগতিতে পার্লামেন্টারিয়ানগণের কার্যকর অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং সংসদ উপনেতা নারী উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও বাংলাদেশ সারাবিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায়ও বাংলাদেশের নারীরা সম্পৃক্ত হয়েছে।
সম্মেলনে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী ও ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনসহ মালদ্বীপ, ভুটান, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশীয় স্পিকারগণ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে স্পিকার সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

জাতীয়