শিবপুর (নরসিংদী) সংবাদদাতা: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করানো হয়েছে। তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিভাবকদের ধারনা। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ যাবত ওই স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। বুধবার স্কুলে প্রথম ক্লাশ চলাকালে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা অনেকেই অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়ে। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশী। ফলে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে উঠে। অভিভাবকরা ভাইরাস থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসারকে অবগত করেন। খবর পেয়ে ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার একটি মেডিকেল টিমসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে অসুস্থদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে যাদের অবস্থা অপরিবর্তিত তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর উপজেলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা, ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, এসিল্যান্ড মোস্তফা মনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল, উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্্র এর আরএমও আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, শিবপুর মডেল থানার ওসি মো: সৈয়দুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) মোল্লা আজিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা সুলতানা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা প্রমুখ।
হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন, রতœা, শান্তা, শ্রাবন্তী, নাজমীন ও দোলা (৮ম শ্রেনী),জুলেখা (৭ম শ্রেনী), সুমাইয়া ও মুশফিকা (৬ষ্ঠ শ্রেনী)। হাসপাতালে ভর্তি ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী জুলেখা জানায়, প্রথম ঘন্টা চলার শেষের দিকে তার হঠাৎ মাথা ব্যাথা উঠে। এরপর হাত-পাত কাপুনিসহ প্রচন্ড ব্যথা হলে সে অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়ে। এরপর সে আর কিছু বলতে পরেনা। উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্্র এর আরএমও আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এটা কোন ভাইরাস জনিত রোগ নয়। এটি গণ মনস্তাত্বিক রোগ। একজনের দেখা দেখি অন্য জনের এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমা করি সুস্থ্য হয়ে আজই তারা বাড়ী যেতে পারবে।
ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, খবর পেয়ে ডাক্তারসহ স্কুলে গেলাম। আমি ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এটা তেমন কোন সমস্যা না। মানসিক রোগ বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারপরও আমরা মনিটরিং করার জন্য দু’দিন স্কুল বন্ধ ঘোষনা করেছি।