যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
২৬ মার্চ প্রত্যূষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার স্মৃতিসৌধে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পসত্মবক অর্পণ করবেন। তারপর বাংলাদেশে অবসি’ত বিদেশি কূটনীতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করবেন। সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশুকিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত থাকবেন।
এদিন হবে সরকারি ছুটির দিন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং সরকারি-বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং রাতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। গুরম্নত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা এবং বিভিন্ন রঙিন পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, ইসলামী ফাউন্ডেশন, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, ক্রীড়ানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। জাতির শানিত্ম ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ এ ধরনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সপ্তাহব্যাপী সমরাস্ত্র প্রদর্শনী চলবে। রাজধানীর বিভিন্ন স’ানে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি , আনসার ও ভিডিপি এবং কোস্ট গার্ডের বাদকদল এদিন বাদ্য পরিবেশন করবে।
এদিন সকল শিশু পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ এধরনের বিনোদন কেন্দ্রসমূহ শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। এছাড়া নৌবন্দর এবং নৌঘাটে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের জাহাজ সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। সিনেমা হলসমূহে বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত স’ানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করবে।
দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবসি’ত বাংলাদেশ দূতাবাসেও জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।