উপকূলীয় এলাকায় পুরাতন মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নতুন মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে। দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় ২৩৫টি পুরাতন মুজিব কিল্লার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কিল্লাগুলো বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে সাইক্লোন থেকে উপকূলীয় লোকদের রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। সেসময় এগুলো উঁচু ভিটা হিসেবে তৈরি করা হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই অবকাঠামো হিসেবে এসব স্থানে মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি পশুপাখির জন্য উন্নতমানের সেড নির্মাণ করা হবে। বিশুদ্ধ পানির জন্য পুকুর, সোলার প্যানেল, প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা জায়গা ও র্যাম্পসহ আধুনিক মানের করা হবে কিল্লাগুলোকে।
আজ সচিবালয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত বিষয় উপস্থাপন করে। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বুয়েটের অধ্যাপক এম এ আনসারী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীনসহ সুরক্ষা সেবা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, এলজিইডি, ইইডি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এসব কিল্লা দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এবং স্বাভাবিক সময়ে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টার, হাটবাজার, খেলার মাঠ, সামাজিক সমাবেশ ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বিল্ডিং কোড মেনে দৃষ্টিনন্দন করে এসব ভবন নির্মাণ করা হবে। আয়তনের ভিত্তিতে ক, খ, গ- এই তিন ক্যাটাগরিতে মুজিব কিল্লাগুলো নির্মাণ করা হবে।
সভায় জানানো হয় পুরাতন মুজিব কিল্লার পাশাপাশি আরো নতুন ৭৩৫টি কিল্লার চাহিদা পাওয়া গেছে। পুরাতন ও নতুন মিলিয়ে প্রকল্প চূড়ান্ত করে শীঘ্রই প্রস্তাব পরিকল্পণা কমিশনে পাঠানো হবে। এর পূর্বে পুনরায়, বুয়েট, স্থাপত্য অধিদপ্তর ও এলজিইডির সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
সভায় ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজের জন্য সংগৃহিত যন্ত্রপাতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। আধুনিক আরো কি কি যন্ত্রপাতি ক্রয় করা যায় তার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কাছে চাহিদা চাওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের পাশাপাশি ভূমিকম্প প্রবণ সকল শহরের জন্য উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে আরো কঠোর হওয়ার জন্য সভায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়।