শিল্পমন্ত্রীর সাথে ইউনিডো প্রতিনিধিদলের বৈঠক

কান্ট্রি প্রোগ্রামের আওতায় জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) বাংলাদেশের চামড়া, কৃষিভিত্তিক হালকা প্রকৌশল ও অটোমোবাইল শিল্পখাতের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও ইউনিডো সহায়তা করতে আগ্রহী।
ইউনিডোর আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকা সম্পর্কিত আঞ্চলিক অফিসের প্রধান রেনে ভ্যান বারকেল এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ সহায়তার প্রস্তাব দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, ইউনিডোর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রোগ্রাম অফিসার চৎধশধংয ঈযধহফৎধ গরংযৎধ, বাংলাদেশ প্রতিনিধি উৎ. তধশর টু তধসধহ সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পখাতের উন্নয়নে ইউনিডোর সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউনিডোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের চামড়া, ডেইরি ফুড, পশুপালন, কৃষিভিত্তিক পণ্য, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, পাট, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্নখাতের উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ইউনিডো বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরা হয়।
শিল্পমন্ত্রী ইউনিডোকে বাংলাদেশের শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পখাতের উন্নয়নে ইউনিডো ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত বিকাশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে ইউনিডোর আরো কারিগরি সহায়তা কামনা করেন। ইউনিডো বিশেষ করে, চামড়া, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সহায়তা বাড়াতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি কান্ট্রি প্রোগ্রাম কর্মসূচির চূড়ান্ত করার আগে সংশি¬ষ্ট স্টোকহোল্ডাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের চাহিদা নিরূপন এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পরামর্শ দেন।
ইউনিডোর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের শিল্পখাতে সাম্প্রতিক গুণগত পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পখাত বিকাশের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ অচিরেই মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হবে। তারা বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এর আলোকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য খাতভিত্তিক চাহিদার আলোকে কান্ট্রি প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে সরকারের সমর্থন কামনা করেন।

জাতীয়