মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে উৎপাদিত রসুন শুকাতে পারছেন না চাষিরা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যাপক হারে রসুন চাষ হয়েছে। রসুনের ফলনও বাম্পার হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম থেকে রসুন উত্তোলন আর বেচাকেনা শুরু হয়। শুরুতে এসব রসুনের বাজার মূল্য প্রতি মণ প্রায় আড়াই হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে বেশি আমদানি আর বৃষ্টির কারণে তা ২ হাজার টাকার কমে এসে দাঁড়িয়েছে।
চিরিরবন্দরে চৈত্র মাসের প্রথমে অসময় বৃষ্টিপাতের কারনে পিয়াজ,রসুন,মরিচ সহ রবিশষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে রবিশষ্য চাষীরা বিপাকে পড়েছে।গত কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনেই রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায়,দিনের বেলায় আকাশ সারাদিনেই মেঘার্চ্ছন থাকে। এতে চাষী উৎপাদিত রসুন সঠিক সময়ে শুকাতে না পেরে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
কথা হয় সাতনালা গ্রামের রসুন চাষীনজরুল ইসলাম, শওকত আলী, নালীপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন,মামুন ইসলাম,মাষ্টার পাড়া গ্রামের শাহীনুর ইসলাম ও জাকির হোসেন এবং নশরতপুর গ্রামের শহিদ ইসলামের সাথে। তারা বলেন, ‘এ বছর এলাকায় রসুনের ব্যাপক চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ, ঠিকমত রসুন শুকাতে পারছি না। আর বাজারে রসুনের দামও কমতে শুরু করছে,রসুন নিয়ে মহাবিপদে আছি।’
উপজেলা কৃষি সম্পাসারন সূত্র বলছে, চলতি মৌসুমে রসুনের ভালো দাম থাকায় রেকর্ড পরিমান জমিতে রসুনের চাষাবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৩ শত ৪৭ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রসুন চাষ হয়েছে ৬ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে রসুন চাষীরা রসুন টিক মত শুকাতে পারছে না। তাছাড়া চৈত্র মাসে প্রচুর রোদ থাকে কিন্তু এবারে আবহাওয়া ভিন্ন রকম হয়েছে। তবে রসুন কাদা মাটি থেকে তুলে ভালভাবে শুকাতে পারলে কোনো ক্ষতি হবে না।