যে সব রোহিঙ্গা অননুমোদিতভাবে কক্সবাজারে প্রবেশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। প্রত্যেক শরণার্থীর জন্য পরিচয় পত্রের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি আজ কক্সবাজারের কুতুবপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন কালে এ নির্দেশ দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, শরণার্থী ক্যাম্পের কমিশনার আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শরণার্থী ক্যাম্পের কর্মরত বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পের নারী ও শিশুদের যে কোন অনৈতিক কাজে ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পের ভিতরে মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করতে হবে।
মন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন এনজিওর কাজকর্মের খোঁজখবর নেন। ক্যাম্পে বার্মিজ ভাষায় শিক্ষাদানের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তাদের শিক্ষা-দীক্ষা, মূল্যবোধ তাদের মতো করে রক্ষা করার জন্য তিনি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন। রোহিঙ্গাদের কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গারা পর্যটন ও সৈকত নগরী কক্সবাজারের পরিবেশ বিপন্ন করছে। এটা পর্যটন শিল্পের ওপর প্রভাব ফেলছে। এখানকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ পুলিশ ও আনসারদের আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ পর্যায়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ অক্ষুণœ রাখতে অচিরেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের কুতুবপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ৭টি সেডে ১৩ হাজার ৯ শত এক জন শরণার্থী রয়েছে।