[ঢাকা, বাংলাদেশ, ১০ এপ্রিল, ২০১৭]:- এশিয়াটিক ইএক্সপি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সম্মিলিত উদ্যোগে, পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের ৫টি প্রধান শহরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘বাংলালিংক আলপনায় বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই বার্জার পেইন্টস্’ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। দেশে এই প্রথমবারের মত বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে ঢাকাসহ দেশের ৫টি প্রধান শহর ঐতিহ্যবাহী আলপনার রং-এ রঙ্গিন হয়ে উঠবে। ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ, চট্টগ্রামের ডিসি হিল এলাকা, রাজশাহীর পদ্মা নদীর পার, খুলনার শিব বাড়ি সার্কেল, বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্ক রোড এবং ময়মনসিংহের টাউন হল সার্কেল-এ আলপনা উৎসবটি আয়োজিত হবে।
১০ এপ্রিল, ২০১৭-তে ঢাকার গুলশান-১ এর একটি কনফারেন্স হল-এ অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে আয়োজনটির ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস আসিফ আহমেদ, হেড অব মার্কেটিং কমিউনিকেশনস এ কে রাহাত আহমেদ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার, মার্কেটিং এ কে এম সাদেক নাওয়াজ, এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি-এর গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন সারা জাকের এবং ‘বাংলালিংক আলপনায় বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই বার্জার পেইন্টস্’ এর পৃষ্ঠপোষক চিত্রশিল্পী মোঃ মুনিরুজ্জামান উক্ত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর মানিক মিয়া এভিনিউ-এর আয়োজনে তাঁদের উপস্থিতি এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধনে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানটির মূল আয়োজনগুলোর মধ্যে থাকছে, জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী ও জনসাধারণের অংশগ্রহণে মানিক মিয়া এভিনিউ-এর পুরো রাস্তা জুড়ে আলপনা, বাঙ্গালিয়ানা ফুড কোর্ট, ফটো বুথ ও ফেস পেইন্টিং সহ চমকপ্রদ সব আয়োজন। জনপ্রিয় মিউজিক্যাল ব্যান্ড চিরকুট এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মত অন্যান্য জায়গাগুলোও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির রং-এ রঙ্গিন হয়ে উঠবে।
বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস আসিফ আহমেদ বলেন, “বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা নববর্ষের আগমনে আমরা একে অন্যের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। প্রথমবারের মত মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী আলপনা উৎসবের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা এটাও অনুভব করি যে, ঢাকার বাইরের অন্যান্য শহরের মানুষগুলো এরকম একটি দারুণ উৎসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; আর এ জন্যই আমরা এবার দেশের ৫টি প্রধান শহরকে ‘বাংলালিংক আলপনায় বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই প্রচেষ্টা বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে”।
বাংলালিংকের হেড অব মার্কেটিং কমিউনিকেশনস এ কে রাহাত আহমেদ বলেন, “বাংলালিংক বরাবরই দেশীয় সংস্কৃতির উৎসবগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে এবং এরকম একটি অনন্য উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষেরা বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে আমাদের সাথে একত্রিত হবে এবং দেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসবটিতে সম্মিলিতভাবে অংশ নেবেন। যারা এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তারা আমাদের ফেসবুক পেজ ‘ডিজিটাল বাংলালিংক’-এ লাইভ উপভোগ করতে পারবেন”।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার, মার্কেটিং এ কে এম সাদেক নেওয়াজ বলেন, “বার্জার পেইন্টস্ বাংলাদেশ লিমিটেড এই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সর্বদাই একাত্ম এবং উৎসব আয়োজনকে আরো রঙিন করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসছে পহেলা বৈশাখ-কে রাঙিয়ে তোলার আয়োজন “আলপনায় বাংলাদেশ” উৎসবে আমরা সঙ্গী হয়েছি। এবারের আয়োজনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল-এর বিভিন্ন স্থানে আলপনা আঁকার মধ্য দিয়ে বরণ করা হবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৪! আশা করি সাড়ে চার লাখ স্কয়ারফিটেরও বেশি রাস্তাজুড়ে আলপনা আঁকার এই বৃহৎ আয়োজন দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করবে। রাঙিয়ে দেয়ার, রাঙিয়ে নেয়ার এই উৎসবে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ”।
এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি-এর গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন সারা জাকের বলেন, “চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ বাঙালী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আলপনায় বাংলাদেশ-এর মত একটি কার্যক্রম আয়োজন করা আমাদের জন্য অনেক গর্বের; এর মাধ্যমে এই দিনের প্রফুল্লতা আরো বৃদ্ধি পাবে। আমি পৃষ্ঠপোষক বাংলালিংক এবং বার্জারকে এই উল্লেখযোগ্য আয়োজনে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই”।
পৃষ্ঠপোষক চিত্রশিল্পী মোঃ মুনিরুজ্জামান বলেন, “সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং চিত্রকলা শৈল্পিক এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি। আলপনা আমাদের সংস্কৃতির এবং আমাদের জনমানুষের মনের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। আলপনা আঁকার এই বিশাল আয়োজনে আসার এবং অংশগ্রহণ করার জন্য আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি”।
আয়োজনটি ১৩ এপ্রিল, ২০১৭-এর রাত ১১:০০টা থেকে শুরু হয়ে ১৪ এপ্রিল, ২০১৭-এর সকাল পর্যন্ত চলবে। আয়োজনটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যেখানে সবাই সম্মিলিতভাবে বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপন করতে পারবেন। এ বছর চার লক্ষ স্কয়ার ফুটেরও বেশি জায়গায় আলপনা করা হবে। অনুষ্ঠানটির আয়োজক এশিয়াটিক ইএক্সপি, যেখানে টাইটেল স্পন্সর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং সহযোগী স্পন্সর বার্জার পেইন্টস লিমিটেড।