ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মালয়েশিয়ার কুচিং চাইনীজ জেনারেল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধিদলের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনা ১১ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। মালয়েশিয়া সরকারের কৃষি আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ওয়াই বি এনসিক ম্যালকম মুসেন, প্রতিনিধিদলের নেতা ড. ক্রিস্টোফার গুই সু লিং এবং ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদল উক্ত আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুটি ভাতৃ-প্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও তা কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষা, পর্যটন প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়া একযোগে কাজ করতে পারে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ১৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৯৫৬.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আগামী ২ বছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নীত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান শুল্ক নীতিমালা সংষ্কার ও যুগোপোযী করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ডিসিসিআই সভাপতি মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের জ্বালানি, ঔষধ, জাহাজ-নির্মান, ইলেকট্রনিক্স, তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
মালয়েশিয়া সরকারের কৃষি আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ওয়াই বি এনসিক ম্যালকম মুসেন প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ডিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যেটি খুবই আশাব্যাঞ্জক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট ও পাটজাত পণ্যের মালয়েশিয়ার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি জানান, কৃষিজাত পণ্য, মশলা, আসবাবপত্র, নির্মাণ সামগ্রী এবং ডেইরী প্রভৃতি পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রতিনিধিদলের নেতা ড. ক্রিস্টোফার গুই সু লিং বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দুদেশের চেম্বারগুলোর যোগাযোগ আরোও বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করেন। তিনি মালয়েশিয়ায় পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পণ্যের বহুমুখীকরন এবং পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরনের বিষয়ে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।