বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কারখানার শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়নের আদলে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন গঠনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা সেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে। শ্রম আইন মেনেই এ এসোসিয়েশন গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিক ও বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট। ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সরকার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি আজ ঢাকায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ সফররত জার্মানির ঋৎরববফৎরপয-ঊনবৎঃ-ঝঃরভঃঁহম (ঋঊঝ) এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল সোমার (গরপযধবষ ঝড়সসবৎ) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৮টি ইপিজেডে প্রায় ৪ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। বাইরের শ্রমিকদের চেয়েও তারা বেশি বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।
ডেলিগেশন প্রধান মাইকেল সোমার বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং ভলো বন্ধু। জার্মানি বাংলাদেশের সাথে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে এখন বাংলাদেশে শ্রমিকরা নিরাপদ। জার্মানি চায় আইএলও নির্ধারিত শ্রম আইন চালু থাকুক।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্জ (উৎ. ঞযড়সধং চৎরহু), এফইএস এর এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিকের প্রধান জুর্জেন স্টেটিটেন (ঔঁৎমবহ ঝঃবঃঃবহ), বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ ফ্রানজিসকা কর্ন (ঋৎধহুরংশধ কড়ৎহ), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।