বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের ৬৫ শতাংশ বাংলাদেশে বাকি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। ইউনেস্কোর এ হেরিটেজ সাইটকে প্রমোট করতে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করতে পারে। এর মাধ্যমে উভয় দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিমান ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মান্ধ ও উগ্রবাদীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। হলি আর্টিজানের মতো ট্র্যাজেডি পেছনে ফেলে কক্সবাজারে পাটার নিউ সম্মেলন, কুয়াকাটায় বীচ কার্নিভাল উদযাপিত হয়েছে। সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপিইউ (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) সম্মেলন, আগামী ১৭ ও ১৮ মে চট্টগ্রামে ইউএনডব্লিউটিও’র (টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ডড়ৎষফ ঞড়ঁৎরংস ঙৎমধহরুধঃরড়হ) জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরে ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় এসিডি মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এ সব সফল আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ইমেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পও বিকশিত হবে।
পশ্চিম বঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য লালনকারী দুই দেশের বাসিন্দারা একযোগে কাজ করলে দুই প্রতিবেশী দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যেতে পারে। তিনি দুই দেশের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ঢাকা-বাগঢোগরা-দিঘা ফ্লাইট চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিপিসির চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী পিএইচি, বিটিবির সিইও ড. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।