বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়নাধীন দু’টি প্রকল্পের আওতায় ২০টি ড্রেজিং ও নৌ-পথ সংরক্ষণ সহায়ক জলযান সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত ২০টি জলযানের মধ্যে দু’টি টাগবোট, একটি বয়া টেন্ডার ভেসেল, ছয়টি ইনল্যান্ড সার্ভে ভেসেল, একটি ক্রেনবোট, দু’টি সার্ভে এলুমিনিয়াম ওয়ার্কবোট, দু’টি পাইপ কেরিং ডাম্ব বার্জ, দু’টি সেল্ফ প্রপেল্ড মাল্টিপারপাজ ভেসেল এবং চারটি কেবিন ক্রুজার।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান আজ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে ড্রেজিং সহায়ক জলযানগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ নৌপথ সৃষ্টি এবং নৌযাত্রা ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দময় করতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। দেশের ৫৩টি নৌরুট খননের জন্য ১১,৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌপথ উন্নয়ন ও নাব্য রক্ষায় বিশ্ব ব্যাকের সহায়তায় ৩২শ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মংলা-ঘাসিয়াখালি নৌ-পথ খনন করে চালু করা হয়েছে। এতে ৮৪ কিলোমিটার পথ কমে এসেছে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নৌ-বন্দর উন্নয়নের অংশ হিসেবে ঢাকা ও বরিশাল, নদী বন্দর ২টি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বরগুনা, যশোরের নওয়াপাড়া এবং ভোলা নদীবন্দর ও টার্মিনাল ভবনের উন্নয়ন এবং সীতাকুন্ড, কাঁচপুর ও টঙ্গীতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে শ্যামপুর এলাকায় ফোরশোর ভূমি স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখা ও রিক্রিয়েশন সুবিধার জন্য শ্যামপুর, কাঁচপুর এবং নারায়ণগঞ্জে ‘ইকোপার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বনায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের দু’পাশে ২৪০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো আনোয়ার হোসেন।