গত ২৯ মার্চ তারিখে সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার হাওর এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় উক্ত জেলাসমূহের ৬২টি উপজেলার ৫১৮টি ইউনিয়নের ৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমির বোরো ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ১৮ হাজার ২০৫টি ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, সচিব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা সরেজমিনে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ হাজার ৯২৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, নগদ ২ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, ভিজিএফ হিসেবে জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত ৩ লাখ ৩০ হাজারটি পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়াও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন সুবিধাভোগীর জন্য ৮২ কোটি ৭ লাখ ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ বাবদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৭১ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৯ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এছাড়া প্রতি জেলায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে সরেজমিনে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। এ মন্ত্রণালয়, অধীনস্থ সংস্থাসমূহ এবং হাওর অঞ্চলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নৈমিত্তিক ছুটিসহ সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র, ঢাকা (ফোন-৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬, ০১৭৫৫৫৫০০৬৭, ফ্যাক্স-৯৫৪৯১৪৮, ৯৫৪০৫৬৭, ০১৭০১১১৬১৯২৬, ব-সধরষ-হফৎপপ@সড়ফসৎ.মড়া.নফ) বা জেলা বা উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা যেতে পারে।