শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক (চুন্নু)বলেছেন, শ্রমিকের মজুরি সংক্রান্ত মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে সময়সীমা নির্দিষ্ট করার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে শ্রম আইনের এ সংক্রান্ত ধারায় সংশোধনী আনা হবে।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে আনুষ্ঠানিক এডিআর এর ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের মজুরি পাওনা সংক্রান্ত মামলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এডিআর তেমন কার্যকর হবে না। এডিআর কার্যকর হয় বড় বড় মামলার ক্ষেত্রে, যখন মামলায় উভয় পক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে। তিনি মজুরি সংক্রান্ত মামলাগুলো অল্প সময়ে কীভাবে নিষ্পত্তি করা যায় এ বিষয়ে শ্রমিক-মালিক এবং এ সকল বিষয় নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের চিন্তা ভাবনা করে সরকারকে পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালতের মামলাগুলোতে দীর্ঘসূত্রতা শ্রমিকদের অনেক ভোগান্তিতে ফেলে। শ্রমিকরা যাতে দ্রুত বিচার পান সেজন্য আপাতত সিলেট ও রংপুরে শ্রম আদালত স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে শ্রমিকদের দায়িত্ব কর্তব্য এবং অধিকারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এজন্য তিনি আইএলও’সহ অন্যান্য দাতা সংগঠনগুলোকে আরো উদ্যোগী হবার অনুরোধ করেন।
সেমিনারে জানানো হয়, সারাদেশে ৮ টি শ্রম আদালত এবং আপিল ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ১৬ হাজার ৮টি মামলা চলমান রয়েছে। যার বেশির ভাগ মামলাই শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট এর আইন উপদেষ্টা ও পরিচালক এস এম রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম পরিপ্তরের পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বক্তৃতা করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এর উপপরিচালক এডভোকেট মোঃ বরকত আলী।
#