মেডিক্যাল টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনার তাগিদ

জনগণের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দেশের মেডিক্যাল টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট টেস্টিং ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপকরা। তারা বলেন, মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন ও রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে এ লক্ষ্যে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এর ফলে দেশে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানির পথ প্রশস্ত হবে।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে এনপিও’র সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) স্বীকৃত গবেষণাগারের সম্মেলন-২০১৭ এ অংশগ্রহণকারী কোয়ালিটি ম্যানেজাররা এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মান ব্যবস্থাপক ও পরীক্ষকরা জানান, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে সম্প্রতি অ্যাক্রেডিটেশন সনদের প্রসঙ্গটি আলোচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে উৎপাদিত ওষুধের রপ্তানি বাড়াতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও মেডিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলোকে বিএবি হতে সনদ গ্রহণের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি হালাল ফুডের বিশ্ববাজার দখলেও অ্যাক্রেডিটেশন সনদ গ্রহণ জরুরি বলে তারা উল্লেখ করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএবি’র মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহ। বিএবির পরিচালক ডেবিড পল স্বপন খন্দকার অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিএবি থেকে অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত ৫০টি দেশি-বিদেশি টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন গবেষণাগারের প্রায় ১শ’ কোয়ালিটি ম্যানেজার ও মান পরীক্ষক অংশ নেন।

জাতীয়