গতকাল জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে ইস্ট রিভার প্লাজায় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক বাজার (মেলা) অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের স্ত্রী এবং ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ এর অনারারি প্রেসিডেন্ট ক্যাটারিনা ভাজ পিনটো গুতেরেজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ এবং সদস্য দেশ ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের স্ত্রীগণ এই মেলার আয়োজন করে। মেলা থেকে উপার্জিত অর্থ সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ এর স্পন্সরকৃত শিশু প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
প্রচন্ড বৃষ্টি ও বাতাস উপেক্ষা করে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের বিপুল উপস্থিতিতে সকাল ১০টা হতে শুরু হয়ে বেলা ৪টা পর্যন্ত এই মেলা চলে। হাতে তৈরি খাবার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যম-িত হস্তশিল্প, পোশাক, শোপিসসহ অসংখ্য লোকজ ও সাংস্কৃতিক উপাদানযুক্ত পণ্য সামগ্রী দিয়ে মেলার স্টলসমূহ সাজানো হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধির স্ত্রী ফাহমিদা জাবিনের তত্ত্বাবধানে এবং স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কস্থ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের কর্মকর্তাগণের স্ত্রীদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এ মেলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দু’টি স্টল স্থাপন করা হয়। হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার এবং দেশীয় কারু ও হস্তশিল্প সামগ্রীর বিভিন্ন পণ্য সম্ভারে সজ্জিত বাংলাদেশ স্টল ছিল বিদেশি ক্রেতাদের অন্যতম আকর্ষণ।
এ বাজার পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এই বাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলন মেলা। বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, আতিথেয়তা, সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ বাজার তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারে’।
নিউইয়র্কে সফররত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে আব্দুল মোমেন সস্ত্রীক ‘বাংলাদেশ স্টল’সহ এ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য ব্যতিক্রমধর্মী খাবার ও ঐতিহ্যবাহী পণ্য কেনার পাশাপাশি মেলায় অংশগ্রহণকারীগণ র্যাফেল ড্র’র টিকিটও ক্রয় করেন। মেলাশেষে ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ এর প্রতিনিধিগণ লটারির মাধ্যমে র্যাফেল ড্র’র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
মানবতার কল্যাণে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রতিবছরই এই ইউএন ইন্টারন্যাশনাল বাজারের আয়োজন করা হয়।