উপাধ্যক্ষ এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম মাসুম,কুমিল্লা উত্তর থেকে:
দেবীদ্বারে যানজট নিরসনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবৈধ দোকানপাট ও হকার উচ্ছেদে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান ফলপ্রসু হচ্ছেনা। একদিকে অভিযান চালালে অন্যদিকে হকাররা সতর্ক হয়ে যায়, আবার একদিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অন্যদিকে যেতেই পূর্বের জায়গায় সবাই ফিরে আসে। তাছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানাকে পাত্তা দিচ্ছেনা হকাররা। কারন, প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত বসবেনা। মাসে কিংবা দুই/তিন মাসে একবার ভ্রাম্যমান আদালত বসে। ভ্রামম্যান আদালত কর্তৃক একদিনের জরিমানার ঘাটতি পুরনে আধাবেলার ব্যবসায় উপার্জিত লাভই যথেষ্ঠ, এমন মন্তব্য পাওয়া যায় হকারদের কাছ থেকে। সোমবার দুপুরে দেবীদ্বারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কুমিল্লা কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এরকম চিত্রই দেখা গেছে।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালত দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকার কলেজ রোডে মোটরযান আইনে অবৈধ পার্কিং’র দায়ে মোটর সাইকেল মালিক জাকির হোসেনকে পাঁচশত টাকা জরিমানা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে খেজুর দোকানদার সুমনকে দুই হাজার টাকা, লিচু দোকানদার ইব্রাহীমকে পাঁচশত টাকা, আজগর হোটেরকে এক হাজার টাকা, কালাম হোটেলকে পাঁচ হাচার টাকা সহ মোট ৯ হ্জার টাকা জরিমানা করে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী উপ-পরিচালক মোঃ আসাদুল ইসলাম, সিনেটারী ইনস্পেক্টর কামরুন্নাহার, দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মোঃ এনামুল হক’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও নির্বাহী বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এব্যপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা নানাভাবে যানজট নিরসন ও ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে হকার, ব্যবসায়ি, ভোক্তা, রাজনীতিকসহ সকল স্তরের মানুষদের সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই ভ্রাম্যমান আদালত নাগরিক সুবিধা প্রদানে সফল হতে পারবে।