ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় প্রাথমিক হিসাবে ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৫ জন মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এতে ৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৬১ জন মানুষ আহত হয়েছেন।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান ও আমির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলার ১৩ উপজেলা ও রাঙ্গামাটি জেলার ১০ উপজেলা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোট ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ১৬টি। এগুলো হলো-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও রাঙ্গামাটি। এতে ৩৯৫৯৯ টি ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৯৯২৯টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৩১৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৯ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরো জানান, উল্লিখিত ১৬ জেলায় চালের রিজার্ভ মজুত ছিল ১২২১ টন। ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে আরো ১৭০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব জেলায় নগদ টাকা রিজার্ভ ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে আরো ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। জরুরি হিসেবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ৩০০ বান ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি এসময় জানান, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সকল ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিপিপি, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের ইতিবাচক তৎপরতার কারণে এ বছর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।