গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত ৩০ মে সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে ৫ জুন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

দ্বিতীয় দফায় ১ জুন থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরে বাধা নেই। এ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এর ওপর শুনানি করতে বলা হয়েছে। এই সময়ে চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিইআরসি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও এম সাইফুল আলম।

একরামুল হক টুটুল প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করেন। চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন। আপিল বিভাগ বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে। ফলে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। তা কার্যকরে বাধা নেই।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিইআরসি দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এই গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় ১ মার্চ ও দ্বিতীয় দফায় ১ জুন থেকে দাম বাড়ার কথা। ওই গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিটটি করেন।

২৩ ফেব্রুয়ারির বিইআরসির আদেশ অনুযায়ী মার্চ মাস থেকে আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য ৭৫০ (আগে ৬০০) ও দুই চুলার জন্য ৮০০ টাকা (আগে ৬৫০) বিল দেওয়ার কথা বলা হয়। আর জুন মাস থেকে এক চুলার জন্য ৯০০ ও দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা বিল দেওয়ার কথা।

শীর্ষ সংবাদ