রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ জুন ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবারের ন্যায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছরও জুন মাসে দেশব্যাপী ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
প্রাচীনকাল থেকে ফলের বহুবিদ ব্যবহার সর্বজনবিদিত। ফল বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও খনিজ লবণের সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলের ঔষধি গুণও যথেষ্ট। তাই দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ফলের কোনো জুড়ি নেই। আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। এখানে সারাবছর নানা জাতের ও স্বাদের ফল উৎপন্ন হয়। আজকাল বিদেশি ফল স্ট্রবেরি, আঙুর, কমলা, ম্যান্ডারিন দেশে চাষ হচ্ছে। তবে দেশীয় ফলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কীটনাশক ও প্রিজারভেটিভের অপরিকল্পিত ব্যবহার ইতোমধ্যে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই এ ব্যাপারেও সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। কাষ্ঠসম্পদের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ফলদ বৃক্ষের রয়েছে অপরিসীম অবদান। পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ফলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে ফল উৎপাদন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
খাদ্য ও পুষ্টির পাশাপাশি আয় ও কর্মসংস্থানে ফলদ বৃক্ষের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ নতুন প্রজন্মসহ আপামর জনগোষ্ঠীর কাছে ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় দেশীয় ফলের ভা-ার ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীকে বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণের উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমি ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ ২০১৭ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”