দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পাহাড় ধসে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারীদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ঐ এলাকায় ১০৫১ মেট্রিক টন চাল ও ৮৮ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও প্রতি বান্ডিলের জন্য ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আট হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৫-১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। ৮৩টি মেডিক্যাল টিম আহত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিচ্ছে।
সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দ সবাই পাহাড় ধসে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পাহাড় ধস নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল হক খান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইসতিয়াক আহমদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আখতার হোসেন ভুঁইয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কুমার ত্রিপুরা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, সশস্ত্রবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপচিালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এবছরের ন্যায় এতো বৃষ্টিপাত বিগত ৫০ বছরে হয়নি। এর ফলে এবছর পাহাড় ধস মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সভায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। বিশেষত একটি সুষ্ঠু পাহাড় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন ও পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাহাড়ে নতুন করে বনায়নের জন্য সভায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাহাড়ী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঈদের পূর্বেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।