দশম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৩তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ও মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার) বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌ-পথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে সুপারিশ করে।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ ভাগ সমুদ্রনির্ভর যার মধ্যে ৯২ ভাগ আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বর্তমানে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা তিন হাজারের বেশি সামুদ্রিক জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গরের ফলাফল। মাতারবাড়ী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকায় কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি, জ¦ালানি তেল আনলোডিং এর জন্য ঝরহমষব চড়রহঃ গড়ড়ৎরহম, খধহফ নধংবফ খঘএ ঃবৎসরহধষ, ভাসমান গ্যাসের জন্য ঋষড়ধঃরহম ঝঃড়ৎধমব জবমধংরভরপধঃরড়হ টহরঃ (ঋঝজট) স্থাপন এবং ১৪ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর জন্য টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত টার্মিনালসমূহ সুষ্ঠু অপারেশনের লক্ষ্যে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকাকে পোর্ট লিমিটেড আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৈঠকে আরো উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের ঐতিহাসিক অবদান, বন্দরের শহিদ ১০১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বন্দরে সংঘটিত ঐতিহাসিক সোয়াত প্রতিরোধ এবং এতে জীবন উৎসর্গকারী মানুষ, নৌ-কমান্ডোদের দুঃসাহসী অভিযান এবং সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি মনুমেন্ট ও একটি জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।