মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউনিয়নের সাতনালা গ্রামের ঝাঁড়–য়ার পাড়কাঁচা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায়পথচারীদের দূর্ভোগ এখন চরমে। ভেঙ্গে যাওয়ার ৪ মাস অতিক্রম হলেও কালভার্টটি মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে এটি ভেঙ্গে পড়ায় বাঁশের চরাট বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন চলাচল করছে। ফলে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বিশেষ করে আমন ও ইরি ধান কাটার সময় আসার সাথে সাথে অত্যান্তব্যাস্ততমসড়ক হয়ে উঠে ।
তবে কালভার্ট ভেঙ্গেযাওয়ার পরেও থেমে নেই এখানকার অটোরিক্সা, রিক্সা,ভ্যান, মটরসাইকেল (ভূটভূটি) ও মালবাহী গাড়ী চালকদের জীবনের চাকা। তারা প্রতিনিয়ত জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন অন্য রাস্তা দিয়ে। এতে করে অধিক ভাড়া দিয়ে যাতায়েত করতে হচ্ছে যাত্রী সাধারনকে । আবার অনেকে রিক্সা ভ্যানঝুঁকিনিয়ে বের হচ্ছেন এই রাস্তা দিয়েই। স্কুল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ব্যবসায়ীকদের যাতয়েত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর আবেদন, কালভার্টি দ্রুত সংস্কার করা হলে মানুষের চলার পথ সুগম হবে ।
সাতনালা গ্রামের ব্যবসায়িক আরিফ, অটোচালক ছপির উদ্দিন, ভ্যান চালক তাহের উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে কালভার্ট নিচের দিকে কাজ শুরু করলেও সর্ম্পুনকাজ শেষ না করেই পরে তা একেবারেই থেমে যায় । তারা আরো জানায় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করলে আমরা রাণীরবন্দর বাজার যাওয়ার জন্য সহজেই পাকা রাস্তা পেয়ে যাই । অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে আমাদের দুই কি:মি কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদের ঘুরে রাণীরবন্দর যাইতে হয়।সরেজমিনে দেখা যায় গ্রামের লোকজন কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাঁশের চরাট বানিয়ে যানবাহন পার করছে।
এ ব্যাপারে সাতনালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফজুলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানানপ্রয়োজনীয় বরাদ্ধ না থাকায় কাজ শুরু করেও শেষ করতেই পারি নাই। তবে দু-একদিনের মধ্যে কালভার্টটি সম্পুর্ন মেরামত করা হবে।