শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক নিহত এবং প্রায় অর্ধশত আহত, এবং মিরপুরের ডিওএইচএস ও পরিবাগ এলাকায় গৃহশ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া ‘মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড’ নামের ওই কারখানার ডাইং সেকশনের বয়লায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে চার তলা ভবনের একপাশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ১০ শ্রমিক নিহত হয় এবং এ আহত হয় আরো প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় সাবিনা আক্তার (১১) এবং পরিবাগে রহিমা আক্তার বেবী (৩০) নামে দুই গৃহশ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বয়লার দূর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বারবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সুরক্ষার তাগিদ দেওয়ার পরও এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট অবহেলা রয়েছে। আর এ অবহেলার কারনে একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটছে এবং শ্রমিকের প্রানহানীর পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং পথচারীরাও দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বক্তারা কারখানাসমূহে পরিদর্শন ব্যবস্থা আরো জোরদার করার দাবি জানান।
উপরোক্ত ঘটনা সমূহের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি বিধান করা, নিহত শ্রমিক পরিবার এবং আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি সারাদেশে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে শ্রম আইন বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি কামরূল আহসান, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কভুক্ত খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন ও জাতীয়ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনসমূহের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।