দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা প্লাবিত মানুষের পাশে থাকবে সরকার। কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। মানুষের কষ্ট লাঘব ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি আজ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন, সেলিনা হোসেন স্বপ্না, আমজাদ হোসেন মিলন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপশি পানি নেমে যাওয়ার পর পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে মন্ত্রী জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। স্বল্প সময়ে যাতে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে নতুন ফসল না উঠা পর্যন্ত এনজিও থেকে গৃহীত কৃষকদের ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য তিনি এনজিও প্রতিষ্ঠানদের অনুরোধ করেন। গ্রামের দুঃখী মানুষদের বাঁচাতে সকলকে আন্তরিক হয়ে সাহায্য করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মায়া চৌধুরী বলেন, বন্যা প্লাবিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসকদের ভিজিট করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করতে হবে ও ওরস্যালাইন মজুদ রাখতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রী সভায় উল্লেখ করেন। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি ও অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। যেসব মানুষ এখনও বিভিন্ন স্থানে উঁচু জমিতে বা রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন অথবা নিজবাড়িতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন তাদের বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার জন্য মন্ত্রী অনুরোধ করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলায় ত্রাণ বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ৩৫০ মেট্রিক টন চাল, ১২ লাখ টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আজকের সভায় নতুন করে আরো ৩০০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ লাখ টাকা ও ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারের ত্রাণ সামগ্রীর অভাব নেই বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন। সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে বন্যা প্লাবিত সকল মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেন।
মন্ত্রী পরে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন প্রত্যন্ত স্থান পরিদর্শন করেন, পানিবন্দি মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের কষ্ট লাঘব ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন, সেলিনা হোসেন স্বপ্না, আমজাদ হোসেন মিলন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।