বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে না আসার জন্যই বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। জনগণের স্বস্তি দেয়ার জন্যই লাইফ লাইন ট্যারিফ রাখা হয়েছে। লাভ-লোকসানের চিন্তা করা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উচিত না। তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করার জন্যই এ প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে “জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলন-২০১৭” এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
জনগণের সাথে অমায়িক ব্যবহার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার জন্য মহাব্যবস্থাপকদের প্রতি আহ্বান জানান। বিদ্যুতের দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতামূলক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বছরে ১% সিস্টেমলস কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১% সিস্টেমলস কমানো গেলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন তার উপস্থাপনায় বলেন, ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯২ লাখ গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী ৭২% এবং সিস্টেমলস ১১.৪৪%। শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন হয়েছে ১৬টি, কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ৩৪টি, ডিসেম্বর ২০১৭ নাগাদ ১৬২টি, ডিসেম্বর ২০১৮ নাগাদ ২৪৮টি উপজেলায় সম্পূর্ণ হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এ সময় বক্তব্য রাখেন।