বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার ৪র্থ জয়েন্ট ট্রেড কমিটি (জেটিসি)-এর সভা ৯ থেকে ১০ আগস্ট, ২০১৭ ঢাকাস্থ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জেটিসির ৩য় সভা ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আসন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এপিরাধি ট্রানট্রাপ্রন (অঢ়রৎধফর ঞধহঃৎধঢ়ড়ৎহ) মন্ত্রী পর্যায়ের সভার পূর্বে জেটিসি’র সচিব পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্ন্টমেন্ট অভ্ ট্রেড নেগোসিয়েনের মহাপরিচালক বনারীত কালায়ানামিত (ইড়ড়হুধৎরঃ কধষধুধহধসরঃ) নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেবেন।
সভায় উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরো মজবুত করার উপায় পর্যালোচনার পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। সভায় থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যে বিদ্যমান ঘাটতি কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের বিশেষ কয়েকটি পণ্যের থাইল্যান্ডের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হবে। অপরদিকে বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।
৯ আগস্ট সভার প্রথম দিন ২০১৭ সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সভায় ২০১৩ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ৩য় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তা প্রসারের সম্ভাব্য ক্ষেত্র ও কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য, ফুড প্রসেসিং এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে এ সভা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ লাভবান হবে।
১০ আগস্ট বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দু’দিনের সম্মেলন শেষ হবে।