ছুটি তিন দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি তিন দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি অন্য প্রধান দুটি ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের ছুটি দু’দিন থেকে বাড়িয়ে চার দিন করা হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদের সময় ঢাকাসহ অন্য বড় শহরগুলো থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবীরা নিজ শহর ও গ্রামে প্রায় একই সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন। এতে যানবাহনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। দুর্ঘটনা বেড়ে যায় এবং দূরপাল্লার যাত্রায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়। আবার ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর ১-২ দিন সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকে। কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও ইউলিটি সার্ভিস যেমন লিফট, গাড়ি চালু রাখতে হয়। এতে ইউলিটি সার্ভিসের সদ্ব্যবহার হয় না।

এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রস্তাবে বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় প্রধান ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ লাগব হতে পারে। ছুটি ছয় দিন হলে যানবাহনের ওপর চাপ, যানজট ও দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি কমানো সম্ভব।

এদিকে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর ও আজহায় তিন দিনের ছুটির সঙ্গে কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ২০ দিনের ছুটি থেকে তিন দিন করে মোট ছয় দিন কেটে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক নৈমিত্তিক ছুটি থাকবে ১৪ দিন। একই সঙ্গে অন্য দু’টি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের ছুটি দু’দিন থেকে বাড়িয়ে চার দিন করা হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রেও নৈমিত্তিক ছুটি থেকে বর্ধিত ছুটি কেটে নেয়া হবে।

Uncategorized