বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রাথমিক জ¦ালানির প্রতিনিয়ত সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে। উন্নয়ন কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ, শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই জ¦ালানির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কলেবর বাড়ানোর পাশাপাশি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করার কাজও এগিয়ে চলছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় জ¦ালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স¦াক্ষরের সময় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া সফর ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ফলে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থনও প্রশংসনীয়। আজকের এ সমঝোতা চুক্তি স¦াক্ষরের ফলে সমতা ও পারস্পরিক স¦ার্থের ভিত্তিতে জ¦ালানি খাতের উন্নয়নে এ দু’টি ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ একসাথে কাজ করবে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি ও এর অবকাঠামো উন্নয়নেও ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট পরিবেশ বিরাজ করছে। সকল বিনিয়োগে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। তিনি ইন্দোনেশিয়াসহ বহির্বিশ্বের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইগানসিয়াস জুনান স¦াক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির, পারটামিনার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসা মানিক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।