রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব ওজোন দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বিশ্বকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য রাখার ক্ষেত্রে ওজোনস্তর রক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হবার পর থেকে বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধ অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে। প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য সূর্যরশ্মি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। তাই এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ঈধৎরহম ভড়ৎ ধষষ ষরভব ঁহফবৎ ঃযব ংঁহ’ যার বাংলা ভাবার্থ ‘নিরাপদ সূর্যালোকে যতনে থাকিবে প্রাণ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হবার ৩০ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরতে এবং জনগণকে ওজোনস্তর রক্ষায় আরো সচেতন করতে ওজোন দিবস ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত কার্যক্রম বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাতেও কার্যকর অবদান রাখছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবের শিকার। তাই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বিশ্ব ফোরামেও বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ওজোনস্তর রক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি ওজোন দিবসের গৃহীত সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”