চিরিরবন্দরে বন্যা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাড়াচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আমন চাষে ঘুরে দাড়াচ্ছে। তারা দিনরাত গা-গতরে খেটে চেষ্টা করছে ঘুরে দাড়ানোর। আবারো ভরে গেছে সবুজের মাঠ। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের তড়িৎ তৎপরতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোহিতা করতে কেউ বসে নেই।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সম্প্রতিকালের বন্যায় উপজেলার আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়া জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও ধান রোপন করেছে কৃষকরা। তবে কোন কোন কৃষক এখনও চারা ধান রোপন করছে। দিনরাত পরিশ্রম করছে যাতে বন্যায় ক্ষতি হওয়ার পর তেমন প্রভাব না পড়ে আমন ক্ষেতে।বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়া ভিয়াইল ইউনিয়নেরদুর্গাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাসান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান ১৫ বিঘা জমির ধান বন্যায় নষ্ট হয়ে যায়। বন্যা পানি নেমে যাওয়ার পর তিনি পুণারায় চারা সংগ্রহ করে আবার জমি রোপন করেন। তবে এক্ষেত্রে পূণরায় চারা লাগাতে তাকে এনজিও থেকে ঋাণ নিতে হয়েছে। তারপরও আমন রোপা লাগানোর ক্ষেত্রে দিন রাত পরিশ্রম করছেন যাতে ভাল ফসল তুলতে পারেন।সাইতাড়া ইউনিয়নের কৃষক মোকারম হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের লোকজন বাড়ীতে আসছে ধান লাগানোর জন্য তারা সহযোগিতা করেছে। তবে বন্যা পরবর্তী যদি সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত হতো তাহলে হয়ত ধার দেনা করে আমন রোপন করতে হত না। বর্তমানে আমন চারা রোপন করা হয়েছে। এখন নিড়ানী ও সারের প্রয়োজন। এক্ষেত্রেও টাকার প্রয়োজন। তাই ঋণের বোঝা থাকছেই আমন চাষের ক্ষেত্রে। তিনি আরো বলেন, কৃষি কাজেই যেহেতু আমাদের জীবিকা নির্বাহের পথ ও কর্ম সেহুতু আবাদ করতেই হবে। আবাদ না করলে খাবো কি চলবো কিভাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি আমন মৌসুমে সম্প্রতি বন্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে ১৮১১৫হেক্টর জমি। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৯৮৭০ হেক্টর জমি। এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৬৪ হাজার ৩৯০ জন কৃষক পরিবার । তবে কৃষি অফিসের তদারকিতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বন্যা আক্রান্ত সব জমিতে পূণরায় আমন চারা লাগানো হয়েছে।

সারাদেশ