বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে (ইউএই) এএসএ (এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট) চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
গতকাল ২ অক্টোবর দুবাই’র সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দপ্তরে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ইউএই’র ইকনমি মিনিস্টার ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল সুলতান বিন সিদ আল মনসুরি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ার সফল রূপায়ন সম্ভব হলো। চুক্তিস্বাক্ষরের ফলে বিমান বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি, রুট সুবিধা পাওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বিমান ও পর্যটণ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটণখাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান না করায় এ সম্ভাবনা দারুনভাবে বিঘিœত হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবেও এ ভিসা প্রদান পুনরায় চালু করতে তিনি ইউএই সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয়ে বিনিয়োগ, বিশেষজ্ঞ প্রেরণ, একাডেমিক ও এডমিনিস্ট্রেটিভসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে ইউএই কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহযোগিতার আশ^াস দেন।
এছাড়া মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত ফ্লাইট ক্রু, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, এয়ার ক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু আছে। তাদের থেকে নিয়োগ করার জন্য ইউএই’র বিমান সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান। ইউএই কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ভিসা প্রক্রিয়া চালুসহ সব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মো. ইমরান, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান এবং ইউএই’র পক্ষে ইকনমি মিনিস্টার ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।