সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্মারক। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা একটি দেশের সংস্কৃতি, জীবনধারা ও ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারি। পৃথিবীর সবদেশে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়তো আমাদের হয় না, কিন্তু চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য ও চিত্রপ্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে ঢাকাস্থ কোরিয়ান দূতাবাসের আয়োজনে ‘কড়ৎবধহ ঋরষস ঋবংঃরাধষ ২০১৭’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ান চলচ্চিত্রের মান খুব উন্নত। তাদের বাণিজ্যিক ও বিকল্পধারা দুই ধরনের ছবি রয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত ইমিগ্র্যান্ট ফেস্টিভালে বাংলাদেশ ১ম স্থান অধিকার করেছে। এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় হচ্ছে এবং সাম্প্রতিককালে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। তারা বাংলাদেশ জাদুঘরের উন্নয়নসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। চলচ্চিত্র উৎসবসহ এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অযহ ঝবড়হম-ফড়ড়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।