মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আরও ৯৮ দিন

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আরও ৯৮ দিন সময় পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মামলার তদন্ত সংস্থাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। গত সোমবার সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলার পুনঃ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, চিত্রনায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলায় যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশকেই নির্ধারিত ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তাঁরা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। মামলাটি অনেক পুরোনো, তারপরও সাক্ষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে হত্যা মামলা দায়ের করে সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। অন্য অভিযুক্তরা হলেন সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।

১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী নারাজি আবেদন করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় ১২ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। এখন মামলাটি পিবিআইতে আছে।

বিনোদন