চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট এবং বন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে, যা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করবে।
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট (গঅজঈওঅ ইঊজঘওঈঅঞ) আজ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে মন্ত্রী আগামী ১ ডিসেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য আইএমও’র ‘বি’ ক্যাটেগরির কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার (আইএমও) তত্ত্বাবধানে মার্কিন কোস্টগার্ড পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করে থাকে। ২০১৫ সালে এবং এ বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন কোস্টগার্ডের একটি দল চট্টগ্রাম বন্দর সফর করে নিরাপত্তার দিকটির উন্নতির বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়। সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।