সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, শান্তি ও সম্প্রীতি ইসলামসহ সকল ধর্মের মূল বাণী। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, তিনি সকল ধর্মের মানুষের জন্য, সকল মানবতার জন্য। আমরা সবাই যদি এটি বিশ্বাস করি ও অনুসরণ করতে পারি, তবে সারা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করবে। মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে পবিত্র রবিউল আউয়াল উপলক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউট আয়োজিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউট এর প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম নুরুদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনেই দারুসসালাম দূতাবাস এর হাইকমিশনার মাসুরাই মাসরি (গধংঁৎধর গধংৎর), মালদ্বীপ এর অ্যাম্বাসেডর আয়েশা শান শাকিল, ভিয়েতনাম এর অ্যাম্বাসেডর ট্রান্স ভ্যান খোয়া (ঞৎধহং ঠধহ কযড়ধ), আগা খান ফাউন্ডেশন এর আবাসিক প্রতিনিধি মুনির এম মেরালি, সেইচেলস্ (ঝবুপযবষষবং) রিপাবলিকের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর কনসাল মোঃ আমিরুজ্জামান, মঙ্গোলিয়া কনস্যুলেট এর কনসাল এবং দক্ষিণ এশিয়া মহিলা উন্নয়ন ফোরাম (এসএডব্লিউডিএফ) এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, জার্মান দূতাবাসের কনসাল আন্দ্রিয়াস হার্টম্যান (অহফৎবধং ঐধৎঃসধহহ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট এর প্রফেসর ড আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, গ্রামীণফোন লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি (গরপযধবষ ঋড়ষবু), ব্রিটিশ কাউন্সিল এর পরিচালক শাহনাজ করিম এবং সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট এর চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম।
মন্ত্রী বলেন, সমাজে ধর্ম ও এর প্রকৃত শিক্ষা সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না। এ পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানবিক কাজ ধর্মের নামে হচ্ছে। এ ইনস্টিটিউট যেভাবে প্রতিবন্ধীদের (বিশেষায়িত ব্যক্তিদের) মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। আমরা শান্তি ভালোবাসি। আমরা যদি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অন্তরে ধারণ করতে পারি, তবে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ, সন্ত্রাস-রাহাজানি থাকবে না।