ব্যাংকিং খাতের বাইরে থাকা তিন কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য ‘ডাক টাকা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ব্যাংকিং খাতের বাইরে থাকা মানুষকে আগামী এক বছরে এ সেবার আওতায় নিয়ে আসাই ডাক বিভাগের লক্ষ্য।
তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা আজ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ‘ডাক টাকা’র উদ্বোধন করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিস হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শেষ পর্যায়। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত করে। সরকারি সেবাসমূহ ডিজিটাল হচ্ছে। মানুষের জীবন সহজতর করা হবে যাতে সরকারি সেবাসহ ভাতা মোবাইলের মাধ্যমে পেতে পারেন। তবে মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিস ডিজিটালাইজ না করা পর্যন্ত এটা সম্ভব হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে আট হাজারের বেশি ডাকঘর আছে, গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে সব ব্যাংকের শাখা থাকে না। শাখা বানাতে অনেক সময় ও অর্থ প্রয়োজন। এ টাকা মানুষের হাতে কীভাবে পৌঁছানো যায়, সে চিন্তা সরকারের ছিল। তিনি বলেন, ডাকঘর দিয়ে এ সেবাটা মানুষের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তারা সেখানে বসেই টাকা লেনদেন, ভাতা প্রাপ্তি এবং খরচ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন। আনন্দের বিষয় মাত্র দুই টাকা দিয়ে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা যাচ্ছে। এতে আমাদের গ্রামের মানুষ লাভবান হবেন।
আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডাক বিভাগকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘ডাক টাকা’ সেবার মাধ্যমে ২০১৮ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও ‘ডি’ মানির চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরীসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।