পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনখাতে বিশে^র প্রথম জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনার উদ্বোধন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অধিকতর অর্থায়নের উদ্দেশ্যে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পরিকল্পনা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় একটি ‘জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা’ তৈরি করেছে। দেশের একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ইউএসএইড’র মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজালস্কি এবং এফএও বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ডেভিড ডুলান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়ও নজর দেয়ায় বাংলাদেশ বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনখাতে দেশের যে সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন পরিকল্পনা হিসেবে এই পরিকল্পনা চমৎকার ভূমিকা রাখবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনখাতে সঠিক ও অগ্রাধিকারযোগ্য প্রকল্প নির্বাচনে এই কৌশলগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের নীতিগত উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/সংস্থার সমন্বিত অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের পরিবেশখাতে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রায় দুইবছর সময় নিয়ে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে অধিকতর সমন্বয় সাধন করা যাবে এবং নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে বিনিয়োগের ফলাফল নির্ণয় করা সম্ভব হবে। পরিবেশখাতে বিশে^ এ ধরনের আন্তঃসংস্থা ও আন্তঃসেক্টরাল বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রথম।

জাতীয়