প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষে আমি এ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর আদর্শ ছিল ন্যায়, শান্তি এবং সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তন করা।বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর ন্যায়, জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।আজকের সমাজব্যবস্থায় তাঁর শিক্ষা ও আদর্শগুলোকে অনুসরণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এখানে জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার এবং সমমর্যাদা রয়েছে। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্মপালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে সকল ধর্মের উৎসব-পার্বণ আমরা গর্বের সঙ্গে একত্রে পালন করি।
এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে আমি ঔদার্য এবং মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আমি আশা করি, বড়দিন দেশের খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।
আনন্দময় ও উৎসবমুখর বড়দিনে আমি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের শান্তি, কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”