ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনের মিলনায়তনসহ সকল পুরাতন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এর পরিবর্তে পুরো এলাকা জুড়ে অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার, সেমিনার কক্ষসহ ষোলতলা টাওয়ারভবন নির্মাণ করা হবে। এর স্থ্াপত্য শৈলী হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্কের সবুজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গতকাল প্রস্তাবিত এ ভবনের নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এতথ্য জানানো হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বাবদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ব্যতীত ঢাকা শহরে বড় কোনো কনভেনশন সেন্টার নেই। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ কনভেনশন সেন্টারের প্রয়োজন রয়েছে। রমনা-সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে। সোহারাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে সমুন্নত রাখতে এর সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রমনা পার্কেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ভাষণের স্থান এবং পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পনের স্থানসমূহ পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করা হয়েছে।
আইইবি’র প্রেসিডেন্ট কবির আহমেদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং অন্যান্য সদস্যগণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রতিযোগিতায় মোট ৫৪টি নকশা জমা পড়ে। একটি জুরি বোর্ড এসব নকশা যাচাই বাছাই, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে আটটি নকশাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। ‘এ প্লাস এম আর্কিটেক্ট’ প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। তাদেরকে সাত লাখ টাকা ও একটি সনদ প্রদান করা হয়।