প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেছেন।
সকালে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেন এবং সমাধিসৌধ জিয়ারত করে এখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
তিনি সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন। জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
মোনাজাতে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয় এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।
শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী এখানে জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চলমান মাদক ও ভেজাল বিরোধী অভিযানের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন এবং পাশপাশি তিনি জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানতে চান। এসময় শেখ হাসিনা কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন মাদক বিরোধী অভিযানে হযরানির শিকার না হন সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন।
জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের শিশু ও কর্মকর্তা এবং শেখ জামাল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করেন।