বাঁশি বাদন প্রশিক্ষণ শুরু হলো শিল্পকলা একাডেমিতে

বাঁশি বাদন প্রশিক্ষণ শুরু হলো শিল্পকলা একাডেমিতে

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ‘বাঁশি বাদন’ বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ কোর্স চলবে ছয় মাসব্যাপী। আগামী নভেম্বরে এই ব্যাচের প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হবে।
শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত বিভাগ আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের জন্য ১৪৫ জন আবেদন করেছিল। এ থেকে বাছাই করে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের জন্য ৯৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার কোটা থেকে অংশ নিচ্ছেন ২৬ জন।
শিল্পকলা একাডেমির সংগীত বিভাগের প্রশিক্ষণ উপদেষ্টা আনিসুর রহমান বাসসকে জানান, শিল্পকলা একাডেমির বাঁশি বাদন প্রশিক্ষণ কোর্স এবার দ্বিতীয় ব্যাচের শুরু হয়েছে। এই ব্যাচের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সপ্তাহের শনি ও বৃহস্পতিবার দুদিন। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুদিনে দুটি করে গ্রুপ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন শিল্পী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী।
তিনি জানান, এই প্রশিক্ষণে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সে কারণে আবেদনও পড়েছে সন্তোষজনকভাবে। প্রতিভাধরদের নিয়েই কোর্সটির প্রশিক্ষণ চলছে। তিনি বলেন, বাংলা সংগীতের জগতে বাঁশি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও চিত্তাকর্ষক উপকরন। আমাদের গানের জগতে তথা সঙ্গীতে বাঁশির ঐতিহ্য অত্যন্ত পূরনো। সব ধরনের গানেই বাঁশির সংযোজন হচ্ছে। এতে করে বাঙালির সঙ্গীত বাঁশিনির্ভর হয়ে পড়েছে। বাদকের সংখ্যাও বাড়ছে।
বাঁশি বাদন প্রশিক্ষক শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী এ বিষয়ে বাসসকে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে উন্নতমানের বাঁশিবাদকের সংখ্যা বেশি নয়। যারা আছে, তারা বয়োবৃদ্ধ। নতুন প্রজন্মের বাঁশি বাদক গড়ে তোলার জন্য এই কোর্স অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই ব্যাচটিতে অসংখ্য মেধাবীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। আমরা চেষ্টা করবো, এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সঙ্গীত জগতে কাজ করতে আগ্রহী হবেন, তাদের প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে। ফলে তাদের বাদনে আরও উন্নতি ঘটবে।
একাডেমির সঙ্গীত বিভাগ থেকে বাসসকে জানান হয়, গত বছর বাঁশি বাদন কোর্সের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। ওই কোর্সে ৮৩ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই বর্তমানে বাঁশিবাদনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। একাডেমির এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান হয়।

বিনোদন