এক বছর আগে এই নেপালেই কান্নায় বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। চিরচেনা মঞ্চে আবারও ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ কিশোররা। তবে এবার প্রতিপক্ষ ছিল আলাদা। নেপাল নয়, বাংলাদেশ মাঠে নামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। তাতে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচটি শুরু হয়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দল গেলবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে। দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিকেল পৌনে ৩টায় স্বাগতিক নেপাল খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম কিশোর সাফের ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।সিলেটে অনুষ্ঠিত আসরে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছিল বাংলার ফুটবলাররা। তিন বছর পর বয়সভিত্তিক এই আসরে আবারও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। কম প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের মিশনে নেপাল যাওয়া মেহেদি হাসানদের জন্য ফাইনালের পথে বাধা হতে পারেনি ভারত। গতবারের মতো এবার আর শেষ চারে থেমে যেতে হলো না মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের দলের।
নেপালের বিপক্ষে গ্রুপসেরা ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি দলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তবে তার জায়গায় গোলবারের নিচে যিনি দাঁড়ান তিনিই ট্রাইব্রেকার হিরো হয়ে দলকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। ম্যাচের ১৭ মিনিটেরে মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ভারত। ওই গোলেই তারা ফাইনাল দেখছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কিশোররা হাল ছাড়েনি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় লাল-সবুজের দল। তাতে গোল করে ১-১ গোলের সমতা করে। এরপর টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠে যায় মেহেদি হাসানরা। আগামী ৩ নভেম্বর ফাইনালে নেপাল বা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।