২৩০ আসনে প্রার্থী মনোনয়নের চিঠি দিল আওয়ামী লীগ

রেজাউল করিম প্লাবন

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ জনকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চিঠি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দশম জাতীয় সংসদে যারা এমপি ছিলেন তাদের অধিকাংশই এবারও দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন।

তবে নতুন মুখ যোগ হয়েছে প্রায় অর্ধশত। পাশাপাশি বাদ পড়েছেন বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ হেভিওয়েট বেশ কয়েক নেতা। আর এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন ১৬ নারী। বাকি ৭০টি আসন মহাজোটের শরিকদের (জাতীয় পার্টি, ১৪ দলীয় জোট, যুক্তফ্রন্টসহ অন্যান্য দল) জন্য রাখা হয়েছে। আজ শরিকদের আসন বণ্টন করা হবে।

রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএস এবং ফোন করে পার্টি অফিসে হাজির হতে বলা হয়।

মনোনয়নপত্র নেয়াকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল-সন্ধ্যা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক প্রার্থী বিপুলসংখ্যক সমর্থকসহ মনোনয়নপত্র নিতে কার্যালয়ে আসেন।

উপচে পড়া ভিড়ে আশপাশের রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। তবে মনোনয়নবঞ্চিত অনেক নেতাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে ঘুরতে দেখা গেছে।

এছাড়া মনোনয়নবঞ্চিত অনেক প্রার্থীর সমর্থকরা সিলেট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এদিকে রোববার দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দিলেও আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জোটগত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যারা চিঠি নিচ্ছেন, প্রত্যেকের সই করা উইথড্রয়াল লেটার (প্রত্যাহারপত্র) আছে। আজকে (রোববার) যারা চিঠি নিয়ে যাচ্ছেন, প্রয়োজন হলে সেখান থেকেও শরিকদের আসন ছেড়ে দেয়া হবে।

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল (আজ) বেলা সাড়ে ৩টায় জোটগত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

জোটের শরিকদের জন্য ৬০-৭০টি আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঠিক কতটি আসন এবং কোন দলকে কতটি আসন দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি কতটি আসন, কিন্তু বলব না। কাল (আজ) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। তবে জোটের আসন ৭০টির বেশি হবে না।

এবারের মনোনয়ন তালিকায় বেশ চমক রেখেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে বেশকিছু হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপিকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কোন্দল, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন বাদ পড়েছেন বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে।

আওয়ামী লীগের চিঠি পাওয়া নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দশম সংসদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। তারা ওই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেন এবং তাদের অনেকেই বিজয়ীও হন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ঢাকা-৭ আসনে হাজী মো. সেলিম ও যশোর-৫ আসনে স্বপন ভট্টাচার্য।

এছাড়া ৯টি আসনে ১৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য ঝুলে আছে। এসব আসনের প্রত্যেকটিতে বর্তমান এমপির পাশাপাশি আরেকজন নেতাকে মনোনয়ন চিঠি দেয়া হয়েছে। তালিকায় ওয়ানডে ক্রিকেটের জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাবেক ফুটবল তারকা আবদুস সালাম মুর্শেদী, গায়িকা মমতাজ, চিত্রনায়ক ফারুকসহ বিভিন্ন পেশার তারকারা মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন।

মনোনয়ন পেলেন যারা : পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম প্রধান, অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন পেয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনে। রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

দলের টিকিট পেয়েছেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-১), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), শিবলী সাদিক (দিনাজপুর-৬)। এছাড়া মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), সমজাকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (রংপুর-৬), হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেন। সামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক (নওগাঁ-৪) নিজাম উদ্দিন জলিল জন (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), প্রকৌশলী এনামুল হক (রাজশাহী-৪), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মো. আবদুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), ডা. আবদুল আজিজ (সিরাজগঞ্জ-৩), তানভির ইমাম (সিরাজগঞ্জ-৪), আবদুল মমিন মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫), ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১)।

কুষ্টিয়া-১ আসনে আ ক ম সারোয়ার জাহান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), সেলিম আফতাব জর্জ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১)।

আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), আবদুল হাই (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), মো. শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩), আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), মে. জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন (যশোর-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিত কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫)।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার (মাগুরা-২), ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা (নড়াইল-২), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), বাগেরহাট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ তন্ময়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের সহধর্মিণী হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (খুলনা-২), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), সাবেক খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ী আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আকতারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬) মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এসএম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু/মো. জাহাঙ্গীর কবীর (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), মো. শাহজাহান মিয়া (পটুয়াখালী-১), আ স ম পিরোজ/সামসুল হক রেজা (পটুয়াখালী-২), এসএম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩), মহিবুর রহমান মহিব (পটুয়াখালী-৪) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), আলী আজম (ভোলা-২), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস (বরিশাল-২), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪), কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর-১), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), তানভীর ইমাম (টাঙ্গাইল-২), এমপি আমানুর রহমান খান রানার পিতা আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আহসানুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম (জামালপুর-৩), মোহাম্মদ মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), মোজাফফর হোসেন/মো. রেজাউল করিম হীরা (জামালপুর-৫)।

আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), একেএম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩)। জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), জাতীয় পার্টিল এমপি এমএ হান্নানের আসন ময়মনসিংহ-৭-এ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী, আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন (ময়মনসিংহ-৯), (ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), বর্তমান এমপি ছবি বিশ্বাসের আসন নেত্রকোনা-১-এ মানু মজুমদার, আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালকুদার পিন্টুর আসন নেত্রকোনা-৩-এ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, রেবেকা মোমিন (নেত্রকোনা-৪), ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫)।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম/মশিউর রহমান (হুমায়ুন) (কিশোরগঞ্জ-১), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩), সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), হাবিবুর রহমান মোল্লা/কাজী মনিরুল ইসলাম মনু (ঢাকা-৫), স্বতন্ত্র এমপি হাজী সেলিম/আবুল হাসনাত (ঢাকা-৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ (ঢাকা-১১), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২) ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক আসলাম (ঢাকা-১৪), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা (ঢাকা-১৬), চিত্রনায়ক ফারুক (ঢাকা-১৭), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), ডা. এনামুর রহমান (ঢাকা-১৯), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), ইকবাল হাসান সবুজ (গাজীপুর-৩), জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), কামরুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২) জহিরুল হক ভূঁইয়া (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫)।

গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), একেএম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪)। কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), মনজুরুল ইসলাম (ফরিদপুর-১), সাবেক সচিব মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-২), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪)।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১) ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২)। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩)। নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান (মাদারীপুর-২)। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩), আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩), ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এমএ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই একে আবদুল মোমেন (সিলেট-১), মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (সিলেট-৩), ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), মো. আবদুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), মো. আবদুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মো. আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), মো. মাহবুব আলী/বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন (হবিগঞ্জ-৪), বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), মো. এবাদুল করিম বুলবুল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিয়য়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)। মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), সেলিমা আহমাদ মেরি (কুমিল্লা-২), ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩), রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪), অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), নুরুল ইসলাম মিলন (কুমিল্লা-৮), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (কুমিল্লা-১০), রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১)।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর/গোলাম রহমান (চাঁদপুর-১), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া (চাঁদপুর-২), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), ড. মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়া (চাঁদপুর-৪), নিজামউদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), এইচএম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), মোর্শেদ আলম (নোয়াখালী-২), মো. মানুর রশিদ কীরণ (নোয়াখালী-৩), একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪), আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহাজাহান কামাল/গোলাম ফারুক (লক্ষ্মীপুর-৩), মো. আবদুল্লাহ (লক্ষ্মীপুর-৪), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), মো. আফসারুল আমিন (চট্টগ্রাম-১০), সামশুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (চট্টগ্রাম-১৩), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), আবু রেজা নদভী (চট্টগ্রাম-১৫), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), জাফর আলম (কক্সবাজার-১), আশেকুল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), সাইমুম সারোয়ার কমল (কক্সবাজার-৩), শাহিনা আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), বীর বাহাদুর উসৈ সিং (বান্দরবান), রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার।

নৌকার টিকিট পেলেন ১৬ নারী : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোববার নৌকার টিকিট পাওয়া ২৩০ প্রার্থীর মধ্যে অন্তত ১৬ জন নারী রয়েছেন।

নারী প্রার্থীরা হলেন- দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুর ঢাকা-১৮, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি চাঁদপুর-৩, সিমিন হোসেন রিমি গাজীপুর-৪, মাহাবুব আরা বেগম গিনি গাইবান্ধা-২, ইসমাত আরা সাদেক যশোর-৬, হাবিবুন্নাহার বাগেরহাট-৩, মুন্নুজান সুফিয়ান খুলনা-৩, রেবেকা মোমনি (নেত্রকোনা-৪), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি মুন্সীগঞ্জ-২, মেহের আফরোজ চুমকি গাজীপুর-৫, জয়া সেনগুপ্তা সুনামগঞ্জ-২, মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২, সেলিমা আহমেদ কুমিল্লা-২ ও শাহীন আকতার চৌধুরী কক্সবাজার-৪ আসন থেকে নৌকার টিকিট পেয়েছেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ