সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনকে দৃশ্যত একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা একটি প্রশ্নের উত্তর দিতেই সাংবাদিকদের হুমকি দেয় এবং খামোশ বলে ভয় দেখায় তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কি সুশাসন দিতে পারে তা বুঝাই যায়।
আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির বাসসকে জানান, ভাস্কর ভাদুরী নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কোন হুমকি-ধামকি স্বাধীন, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। যারা একটি প্রশ্নের উত্তর দিতেই সাংবাদিকদের হুমকি দেয় এবং খামোশ বলে ভয় দেখায় তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কি সুশাসন দিতে পারে তা বুঝাই যাচ্ছে।’
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর ভাদুরীকে আশ্বস্ত করেন।
শুক্রবার ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী জামায়াত ইসলামীর ব্যাপারে তার অবস্থান জানতে চাইলে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা কর। শহীদদের কথা চিন্তা কর। তোমাদের মুখ বন্ধ কর, চুপ কর, খামোশ। প্রশ্নকারী সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোন পত্রিকা থেকে এসেছো। তোমাকে চিনে রাখব।’
প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক ভাস্কর ভাদুরী ড. কামালের কাছে জানতে চান, নির্বাচন কমিশন যে দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেই জামায়াত ইসলামী কিভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করছে? ড. কামাল হোসেন এ প্রশ্নে রেগে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে আদৌ কোন প্রশ্ন ওঠে নাই। তোমরা অপ্রয়োজনীয় কথা বলছ। এই প্রশ্নগুলো করার জন্য তোমরা কত টাকা পেয়েছ, কে তোমাদের টাকা দিয়েছে?’
এর আগে গত বছর প্রধান বিচারপতির আদালতে একটি শুনানিতে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন কঠোর সমালোচিত হয়েছিলেন।