পরাজয় জেনে বিএনপি নেতাদের মুখে হতাশার সুর : কাদের

বিএনপি নেতাদের ফোনালাপের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি নেতাদের মুখে এখন হতাশার সুর। তারা সম্ভবত ২০/৩০টির বেশি আসন পাবে না জেনে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের সকল ধরনের সহিংসতার জবাব দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

আজ শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুরু থেকে নির্বাচনের বিষয়ে যে শঙ্কা ছিল তা এখন আর নেই। আকাশে মেঘ থাকবেই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেঘ কেটে যায়। যে কালো মেঘ ছিল তা এখন কেটে গেছে। আমরা সবাই জানি শেষ ভালো যার সব ভালো তার। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। আমাদের জয়ের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বিজয়ের মাসে নৌকা বিজয় নিয়ে বন্দরে পৌঁছবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার সুষ্ঠ, সচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিচ্ছে, এটাকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বলা যায় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো গণত্রান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচন করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনে ভিন্ন মতের লোক থাকতে পারে অধিকাংশের মতামতই হচ্ছে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা সঠিক পথেই চলছে। আমরা ভালো কিছুর জন্য আশা করি, পাশাপশি মন্দের জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা
ভোটকেন্দ্র রক্ষার কথা বলছি, এ কারণে জনগণ যেন নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সে সহযোগিতা হচ্ছে পাহারা।

তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচনে জনগণের শতভাগ মতামতেদর প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের নির্বাচনে একটি অনুকূল, শান্তিময় ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বহু বছর ধরে ছিলো, তবে সহিংশতা শব্দটা ছিলো না। যেখানে শেষ মুহূর্তে শঙ্কার ভাব থাকে সেখানে শেষের দিকে নির্বাচন সুন্দর হয়। শেষ ভাল যার সব ভাল তার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ফ্রেব্রুয়ারীর মতো ভোটরবিহীন নির্বাচন হবে না। আমাদের জয়ের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট এবারও সরকার গঠন করবে। নির্বাচনে যাদের জয়ের আশা নেই তারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদ–ওয়াদুদ পিন্টু, আবদুল মমিন বিএসসি, মাহমুদুর রহমান জাবেদ, সামছুদ্দিন সেলিম, আ্য্যডভোকেট আতাউর রহমান নাছেরসহ দলের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে শুক্রবার রাতে মন্ত্রী প্রয়াত নোয়াখালীর বিশিষ্ট শিল্পপতি আনোয়ার মির্জার মৃতদেহ দেখতে যান এবং মরহুমের পরিবারকে সান্তনা দেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ