পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে নেমে এসেছে হাড় কাঁপানো শীত। আবহাওয়া অধিদফতর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তরীয় হিমেল বায়ু প্রবাহের কারণে সর্বউত্তরের এই জেলার সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে।
পঞ্চগড়ে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শীতের প্রকোপ। কনকনে শৈত্য প্রবাহের ফলে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জীবন যাপন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। শীতের তীব্রতায় জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে এই জেলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিনের বেলা রোদ উঠলেও শির শির বাতাশে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনূভুত হয়।
তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার রফিজ উদ্দীন (৭৮) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, রোদ আছে। কিন্তু বাতাশে খুব ঠাণ্ডা লাগে। রাতে ২/৩টা লেপ লাগে। সকালে বিছানা থেকে উঠা যায় না। পানিতে হাত দেয়া যায় না। বরফের মতো ঠাণ্ডা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অফিস ইনচার্জ রহিদুল ইসলাম জানান, গত বছর কুয়াশা দেখা গেলেও এবার তা নেই। কুয়াশা থাকলে শীত কম থাকে। এবার কুয়াশা না থাকার কারণেই ঘণিভূত হয়েছে শীতের প্রকোপ। সূর্য ডুবার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সকাল ৯টার পর তীব্রতা একটু কমলেও শির শির বাতাশের কারণে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।
এদিকে, পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতের কারণে শিশু এবং বয়স্করা শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. প্রতিক কুমার বনিক জানান, শীতের কারণে ডায়রিয়া, শাস কষ্ট, সর্দি-কাশিসহ হৃদ রোগের প্রকোপ অনেকটা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে শীত জনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। এ ব্যাপারে শিশু এবং বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।